বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

স্বপন বুড়োর গল্প (নস্টালজিয়া)

চাঁদের আলোর রূপালী বানে সব গিয়েছে ভরে
স্বপন বুড়ো হাঁটছে একা ঝিনাই নদীর তীরে
বইছে বাতাস ধীরে,
ডাকছে শিয়াল দূরে, উদাসী রাত্রিরে।

স্বপন বুড়োর  পড়ছে মনে ছেলেবেলার কথা
মা হারানোর ব্যথা,
জল জমেছে চোখের কোণে,
ভাবছে বুড়ো আপন মনে
মায়ের কোলে জ্যোৎস্না দেথা,
দিনগুলি রূপকথা !

দূর পাহাড়ের ছোট্ট গাঁয়ে ছোট্ট সুখের ঘর
মা-ছেলেতে থাকতো সুখে অন্তরে অন্তর
হঠাৎ করেই জ্বলল আগুন পুড়ল মানুষ
হায়েনার পাল উঠলো মেতে,
রাত্রি জুড়ে রক্ত ফানুস
স্বপন বুড়োর মা,
মরার আগে বলে ছিল, "বাবা যুদ্ধে যা"।

স্বপন বুড়োর রক্তে আগুন , জ্বলল চিতা, রাত্রি কালো
স্টেনগান হাতে যুদ্ধে গেল, ফিরল নিয়ে বিজয় আলো
পাক-হানাদার ধ্বংস করে, ক্লান্ত হৃদয় শান্ত হল,
ভাবছে বুড়ো হাঁটছে একা, নদীর তীরে রাত পোহাল।
ভোরের অপেক্ষা!

২১-০৯-২০১৭
১৭:১০

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পুরনো দুঃখ

অনেক কাল আগে
কোন অচেনা দেশে
বেড়াতো ঘুরে অচেনা এক ছেলে
বাউলের বেশে।
ভাবতো সে এভাবেই পাবে মুক্তি
ছিল তার কাছে অনেক যুক্তি
সুরে সুরে করতো প্রকাশ
শুনতো না কেউ
শুধু দখিনা বাতাস।
যখন সে কাঁদতো একা
তার সাথে তাল মেলাতো রাতের বাতাস।
ছেলেটির ছিল দুঃখ অনেক
তবে রাখতো নিজের কাছে
সবাই ভাবতো সে সুখী,
চোখ ভরা দুখের আগুন
মুখে স্নিগ্ধ হাসি।
থাকতো সে কোন এক নির্জনে
ছোট্ট কুটিরে একা
প্রতি রাতে বন্ধু চাঁদ করতো এসে দেখা।
কোন এক পূর্ণিমায়, হঠাৎ ই সে হারিয়ে যায়
কেউ জানে না তা।

০৮-০৪-২০১৪

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

স্বপন বুড়োর গল্প (পরিচয়)

উদাস চোখে অচেনা আকাশ, লক্ষ তারার মেলা
স্বপন বুড়ো দেখলো স্বপন, মনটা উতলা।
এই বুড়োটা ভাবুক বড়, ভেবেই শুধু যায়,
সম্বল তাহার ভাঙ্গা বাড়ি, দিন আনে দিন খায়।
তবু তাহার ঠোঁটের কোনে হাসি লেগেই রয়
তিনকূলে কেউ নেই যে কেহ, নেই হারাবার ভয়।

রোজ ভোরেতে ঘুম ভাঙে তার তৃপ্ত ঘুমের শেষে
সুয্যি উঠার দৃশ্য দেখে ঘাসের উপর বসে,
সামনে থাকে ছোট্ট নদী ধীরে বয়ে যায়
পানকৌড়ি, জলপিপিরা ডুব খেলা দেখায়
স্বপন বুড়ো এসব দেখে ভীষণ মজা পায়।

স্বপন বুড়োর স্বপ্ন অনেক দেশ মাতারই জন্যে
দেশের ভাল শুনলে পরে মন হয়ে যায় ধন্য,
স্বপন বুড়োর মনটি কোমল তা সবারই জানা
একাত্তরের বীর যোদ্ধা, অব্যর্থ নিশানা।
এখনো সে উদাস মনে দেশটা নিয়েই ভাবে,
স্বপন বুড়ো আজ জেনেছে কেউ জানেনা তাকে।


১৬-০৯-২০১৭
১১:০৮
শেওড়াপাড়া, ঢাকা

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হিংসা ভুলে যাও

মানব জীবন আর পাবেনা, সময় বড় কম
সময় ক'টা ফুরিয়ে গেলে ফুরিয়ে যাবে দম,
জীবন-মরণ দুই দুয়ারের মাঝে অল্প পথ
এই পথেতেই ছুটে বেড়ায় জীবন নামের রথ।

পথের মাঝেই লুকিয়ে আছে জীবন যন্ত্রণা
এই পথেতেই যায় যে পাওয়া সুখের মন্ত্রণা,
যা খুশি তা নাও
তবে সুখ যদি চাও গো পেতে,
হিংসা ভুলে যাও,
সবার দুঃখের সঙ্গী হয়ে, সুখেরই গান গাও।

মানুষ তোমায় রাখবে মনে,
বাসবে ভাল তোমার মন
এর চেয়ে আর পাবেনা সুখ
পাবে খুঁজে আপনজন।

১৪-০৯-২০১৭
০৭:৪৮

শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বিকৃত সত্তা

অবিনশ্বর, হয়তো নরকের কীট
যে আলো দেখে দূরে সরে যায় যন্ত্রণায়, দুমড়ানো সত্তা
অন্তহীন গোলকধাঁধায় এলোমেলো মন,
বেহুলা বাতাসের কান্নার সুর
আমি সেই  টিকি কাটা পণ্ডিত,
যার ধুসর চোখে জেগে উঠে সমুদ্র, থৈ থৈ জল,
বিরহের অচেনা রাগ, নৈশব্দের কোলাহল!

আমি বিষাদ, অসীম বিষাদ, অতৃপ্ত কামণা
অবাঞ্চিত কিশোরের বয়সন্ধির অপার্থিব সময়,
নরকের শয়তান, হৃদয়ে পূর্ণ যাতনা,
আমি অসুস্থ বৃদ্ধের মৃত্যু ভয়, বিরহ বীণা!
আমি অশান্তি, আমি আবেগ, আমি সব
আঁধার অথবা আলো, কখনো জীবনের কলরব!

আমি কর্ণের আকূল দৃষ্টি, আবার অর্জুনের মৃত্যুবাণ,
যুধিষ্ঠিরের মিথ্যা, আমি কুমারীর সন্তান।
আমি শ্যামের বিরহ বাঁশির সুর,
আমি অচেনা পথের পথিক, যেতে হবে বহুদূর।
আমি রাত্রি, আমি দিবস, আমি ভয়
আমিই সাহস, অচিরেই এই বিশ্ব করেছি জয়!

আমি ধ্বংস স্তুপে দাড়িয়ে করি নতুনের সৃষ্টি
তপ্ত সাহারার শুকনো হৃদয়ে ঝরাতে পারি বৃষ্টি
আমি মৃত নক্ষত্র, কৃষ্ণবিবর,
আমি বিবর্ণ রাক্ষুসীর করুণ হাহাকার,
আমি অশান্ত, আমি রহস্য বারমুদার।
ছুটে চলা সাইক্লোন, অথবা তুফান
প্রথম প্রেমের অশ্রু, প্রথম অভিমান।

আমি অাঁধারের বুকে আলো, আলোর মাঝে আঁধার
আমি নির্বোধ ছেলেটার চোখ, অসীম পাথার।
আগ্নেগিরির লেলিহান শিখা, প্রলয়ের ঝাঁপটা
আমিই আমার আমি, বিকৃত সত্তা।

০৮-০৯-২০১৭
০০:২১

বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

দৈত্য ও পরী

পরীর ডানায় হেলান দিয়ে, আকাশ পথে যাচ্ছি উড়ে
সাত সাগর আর তেরো নদী, দেখছি আমি হৃদয় ভরে,
নীল পরীরা মিষ্টি ভীষণ, লাল পরীরা রাগী,
তবু তারা অনেক ভাল, খুবই পরিপাটি!
দৈত্য গুলিও মন্দ নয়, হৃদয় ভীষণ ভাল,
বন্ধু তারাও হতে পারে, অন্ধকারের আলো,
মাথার উপর নীল আকাশে লক্ষ-কোটি তারা হাসে,
তারি নিচে দৈত্য-দানো, রাতের বেলা মুগুর ভাজে!
ভয় পেওনা তাদের দেখে, পারলে বেসো ভালো,
তারাও তোমার করবে খাতির, যদি বন্ধু বলো।

 ০৬-০৯-২০১৭
 ০০:১৪


রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সন্ধ্যাতারা

তপ্ত গ্রীষ্মের শান্ত আকাশ, সাঁঝেরবেলা
আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে তারার মেলা,
ম্লান আলো দিচ্ছে চাঁদ,
আকাশ গঙ্গায় মেঘ করছে খেলা,
আকাশটা দুলছে, রূপালি ঢেউ,
মিটিমিটি গ্রহ যেন এঁকেছে কেউ!

আকাশপানে চেয়ে দুজন মিলে
বুনেছি স্বপ্ন হাজার, মায়ার জালে,
চাঁদ কে সাথী করে হেঁটে বেড়াতাম
মায়া মোহে লুকোচুরি, হারিয়ে যেতাম।
তখনো দূরাকাশে সন্ধ্যা তারায়,
সুখ আর ভালবাসা শুধু ছড়াতাম।

চেয়ে দেখি আজ শান্ত সবই,
শুধু কবিতারা আনমনে আঁকছে ছবি,
দিনের শেষে রাত, সুরেলা বাতাস,
বিষণ্ণতার মেঘ, নীরব প্রভাত।
আজো পাখি গান গেয়ে নীড়ে ফিরে যায়,
জ্যোৎস্নার রাতগুলি শূন্য কাটায়।
উদাস মনে দেখি সাঁঝের ধারা,
দূরাকাশে যেন হাসে সন্ধ্যাতারা!

০২-০৯-২০১৭
২৩:৪৫

দুঃখ ও ভালবাসা

যেদিন থেকে জেনেছি ভালবাসা বলে কিছু নেই
সেদিন থেকেই আপন করে নিয়েছি দুঃখটাকেই।

ভালবাসা সে তো ক্ষণিকের অতিথি
শুধু দুঃখটাই স্থায়ী
ভালবাসা, সে তো রহস্যময়
দুঃখ মমতাময়ী
কোমল পরশ বুলায় মনে,
নয় সে ছলনাময়ী।

যেদিন থেকে জেনেছি ভালবাসা বলে কিছু নেই
সেদিন থেকেই আপন করে নিয়েছি দুঃখটাকেই।

ভালবাসা দেয় আনন্দ
তবে ক্ষণস্থায়ী
দুঃখ দেয় দুঃখ শুধু
তাকে ভালবেসে।
ভালবাসা সে তো কল্পনা
দুঃখ বাস্তবতা।

যেদিন থেকে জেনেছি ভালবাসা বলে কিছু নেই
সেদিন থেকেই আপন করে নিয়েছি দুঃখটাকেই।

২৭-১০-২০১৪
০৪:১০

কাল্পনিক

কল্পনার অতল জগতে,
বাস করি আমি।
চারদিকে শুধু সুখের ছোঁয়া,
স্বপ্ন দেখে যাই আপন মনে,
জীবনের কোলাহল দূরে রেখে
ব্যর্থতা পাশ কাটিয়ে।

এ এক জগৎ অবাস্তব
সুখগুলো সব অবাস্তব
স্বপ্নগুলি অবাস্তব!
বয়ে চলি নির্মম বাস্তবতা,
কাল্পনিক, সব কাল্পনিক।।

বাস্তব দুঃখের দহনে
পুড়ে মনটা আমার
কখনো হঠাৎ মন পেতে চায় ভালবাসা
ক্লান্ত হয়ে যাই ঝিমিয়ে,
ডুবে যাই অবাস্তবতায়।

এ এক জগৎ অবাস্তব
সুখগুলো সব অবাস্তব
স্বপ্নগুলি অবাস্তব!
বয়ে চলি নির্মম বাস্তবতা,
কাল্পনিক, সব কাল্পনিক।।

স্বপ্নের জগতে মন চায় হারাতে
কর্কশতা আর ভালো লাগেনা,
মন তাই ফিরে চলে
সাথে নিয়ে শূন্যতা।

এ এক জগৎ অবাস্তব
সুখগুলো সব অবাস্তব
স্বপ্নগুলি অবাস্তব!
বয়ে চলি নির্মম বাস্তবতা,
কাল্পনিক, সব কাল্পনিক।।

১৯-১০-২০১৪
১৫:৫০-১৫:৫৮

সবই গেল জলে

তোমার জন্য একটি গান লিখবো বলে
নিবটা আমার তখুনি উঠল জ্বলে!
কত কথা বলি তোমায় গল্পচ্ছলে
শুনলেনা কিছুই তুমি
তাই সবই গেল জলে।

এখন আমি কি করি?
শুধু মাথা ঠুকে মরি
মাঝ রাতে ঢিল ছুড়ি
পরের চালে!
হায়! সবই গেল জলে।

তোমার জন্য একটি কাব্য লিখবো বলে
মহাকাব্য চলে এল পরীক্ষার হলে!
লিখলাম পুরোটাই, পরীক্ষার খাতায়,
খুশি হয়ে হেড-স্যার জিলিপি দিল আমায়।

এখন আমি কি করি?
শুধু মাথা ঠুকে মরি
মাঝ রাতে ঢিল ছুড়ি
পরের চালে!
হায়! সবই গেল জলে।

তোমার জন্য গান আমি গাইবো বলে
মিষ্টি পান মুখে দিলাম মনের ভুলে
তারপর হল কি?
বলবোনা আজকে,
বাকিটুকু শুনে নিও নেক্সট অ্যালবামে!

২৯-০৫-২০১৫
৯:৩২

দস্যি ছেলে

দস্যি ছেলে দুরন্ত মন নিয়ে
বেড়ে উঠে বাংলা মায়ের কোলে,
সারাদিন দৌড়-ঝাঁপ, দস্যিপনা
ভালবাসে সে।

মন চায় ডানা মেলতে
তাই উড়ে যায় পাখির সাথে
নতুন দিনের আশা সামনে তার
নতুন সূর্য দিক সীমানায়।

দস্যি ছেলে দুরন্ত মন নিয়ে
বেড়ে উঠে বাংলা মায়ের কোলে,
সারাদিন দৌড়-ঝাঁপ, দস্যিপনা
ভালবাসে সে।

সরল মন চায় ভালবাসা
ভাল বাসতেও জানে সে....

দস্যি ছেলে দুরন্ত মন নিয়ে
বেড়ে উঠে বাংলা মায়ের কোলে,
সারাদিন দৌড়-ঝাঁপ, দস্যিপনা
ভালবাসে সে।

১৮-০৭-২০১৫
০২:৫৩

জাগো নবীন

হেসে খেলে কাটাচ্ছ দিন
ইচ্ছে তোমার বড় হওয়ার!
শুধু খাওয়া-ঘুম, বাদ লেখাপড়া
এভাবে যায় না বড় হওয়া
জাগো নবীন, জাগো।

সারা দিন ছুটোছুটি ব্যস্ত দিন
আড্ডার প্রাণ তুমি
তুমি হীনা সব মলিন।
ভাবছো তুমি এসব কথা,
মনের মাঝে নিরবতা
সুপ্ত ইচ্ছে বড় হওয়ার,
তাই যাগো নবীন, জাগো!

মজার মানুষ তুমি
শুধু ভাবতে জানো
সময়কে তুচ্ছ করে শুধু মেতে উঠ,
ভাবছো হয়তো, অনেক সময়
মিথ্যে ভাবনা নিয়ে ঘুমের ঘোরে
ইচ্ছে শুধু বড় হওয়া
তাই জাগো নবীন, জাগো!

তোমার চলার পথে আসবে বসন্ত,
তোমার পরশে জাগাতে জগৎ
জাগতে হবে তোমায়,
জাগো নবীন, জাগো!

৩১-০৭-২০১৫
০৩:০৯

টুকরো অনুভূতি

রং তুলি আঁকা ছবি
শিল্পী হৃদয়
মন চায় লিখে যাই
তবু কবি নই।
দিন শেষে যায় মিশে
কত পথ কত দেশে
কালো আঁধারে।

হাতে হাত মনে মন
কাঁধে ঝুলিয়ে ব্যাগ আর বই
কলমটা পকেটে ফেলে
হাতে সিগারেট লই।
অ্যাশট্রে হৃদয়,
ধোঁয়া অবসর
দিন শেষে রাত,
রাত শেষে ঘুম!

২৩-১০-২০১৫
০২:৩১

তোমাকেই বলছি প্রিয় || To You, My Dear

তোমাকেই বলছি প্রিয়, শোন, এই ছোট্ট কথা। তোমাকেই বলছি প্রিয়, জানি, বুঝো মনের ব্যথা। তোমাকেই বলছি প্রিয়... আকাশের নীলচে আভায় কত কথা থাকছে জ...