তুফান আইলো রে

আইলো আইলো আইলো রে
        তুফান আইলো রে
দূর আসমানে কালা মেঘের
        ঘূর্ণি জাগে রে
বাইরে যারা রইছ বইয়া
        ঘরকে চলরে..হো ঘরকে চলরে।।

ঘূর্ণিপাকের দূর্বিপাকে গরম হাওয়া বয়
ঐ যে তুফান পড়ল আইয়া মনে জাগে ভয়
উড়ব চালা, মরব মানুষ, উজার হইব বন
বজ্রমেঘের চমকানিতে চইমকা উঠে মন।

আইলো আইলো আইলো রে
        তুফান আইলো রে
দূর আসমানে কালা মেঘের
        ঘূর্ণি জাগে রে
বাইরে যারা রইছ বইয়া
        ঘরকে চলরে..হো ঘরকে চলরে।।
       
গাছ-গাছালির সাথে সাথে উড়ল ঘরের চাল
ভীষণ তেজে বইল বাতাস কান্দল মহাকাল
ঝড়ের সাথে লড়তে যাইয়া ডুবল জীবন নাও
লণ্ডভণ্ড হইয়া গেল ফুলবানুগো গাঁও।

আইলো আইলো আইলো রে
        তুফান আইলো রে
দূর আসমানে কালা মেঘের
        ঘূর্ণি জাগে রে
বাইরে যারা রইছ বইয়া
        ঘরকে চলরে..হো ঘরকে চলরে।।
       
ফুলের মত ফুলবানুটা ঝইরা গেল ঝড়ে
ভালবাসার মানুষ গুলা আগেই কেনে মরে?
একটা তুফান জীবনডারে করিল ছারখার
গরীব দুখী মানুষগুলা খায়গো সবার মার।



১৭ এপ্রিল ২০২০
০০:৫১
কালিহাতী, টাংগাইল

তবু ভালো হোক তার

মিথ্যা সান্তনায়    মন হারিয়ে যায়
      ভাসালে আমায়
      গভীর যন্ত্রণায়।
জীবনের পথে    ভাসমান রথে
      ভাসব একসাথে
      রইলে তফাতে।
দিয়েছিলে কথা    বুঝে নেবে ব্যাথা
      বানালে খাতা
    পাতাগুলো সাদা।
   
চলে গেলে উড়ে        ডানা মেলে দূরে

        মন গেছে পুড়ে
        আমি ভবঘুরে।
গান ছিল মনে        গাইলে গোপনে
        বিষাদের ক্ষণে
        তপ্ত জীবনে।

ক্ষণিকের পাখি        চলে গেলে ডাকি
        জলভরা আখি
        মনছবি আঁকি।
ভেবে ভেবে সারা    মন দিশেহারা
             অসহ্য ধরা
        জীবন সাহারা।
ভাববনা আর        ভাবি বারবার
        মন ছারখার
    তবু, ভালো হোক তার।

   
     
১২ এপ্রিল ২০২০
১১:৫৭
কালিহাতী, টাংগাইল

প্রভু

ঐ দূর নীলাকাশে পাখিরা উড়ে যায়
বৃষ্টি মেঘের ভেলা আকাশে ভাসায়
সৌন্দর্য্যের বানে মনটা হারায়
সময় বয়ে চলে আপন ধারায়
প্রভু তোমার ইশারায়!
সবুজের বুকে জাগে সবুজের দোলা
রূপ-রস-গন্ধ নতুনের মেলা
কালো মেঘ দেয় নাড়া বজ্রের গোলা
কিছু মন পথ চলে শুধু একেলা
প্রভু তোমার লীলা!
সাঁঝের আকাশে জাগে কত শত রং
রাত্রি তিমির করে চাঁদকে বরণ
আঁধারের চাদরে আলো-আবরণ!
রাত শেষে জেগে উঠে সূর্য-কিরণ
প্রভু তোমার নিদর্শন!
জানিনে কিছু আমি তুচ্ছ মানুষ
বার বার ভুল করে করে যাই দোষ
জ্ঞান-সাগরের বুকে উড়িয়ে ফানুস
ভুল-ভাল বুঝে নিয়ে হই যে বেঁহুস
তুমিহীনা এ ভূবনের সকলি আঁধার
শূন্য-তুচ্ছ-মরু অথৈ পাথার
তুমি ছাড়া এ  জগতের সকলি ভুল
তোমার চরণে তাই সঁপে দিই ফুল।


১০ এপ্রিল ২০২০
১৬:১১
কালিহাতী, টাংগাইল

বসন্ত বিকেলের উড়ো মেঘ

বসন্ত বিকেলের উড়ো মেঘ
    ভেসে যায় দমকা বাতাসে
        বুক ভরা বজ্র-মশাল নিয়ে
ভেসে যায় দূর দিগন্তে
    যত দূর চোখ যায় শুধু আলোর চমক
        ভেসে যায় উড়ো মেঘ, ভেসে যায়
            দূর দিগন্তে, বহুদূরে।

অজস্র ফুলের ঘ্রাণ- ভাঁটি, গোলাপ, বেলী
    আরো কত নাম না জানা ফুল
        সুবাস ছড়ায়, ভেসে যায় দূর দিগন্তে
            দমকা বাতাসে, উড়ো মেঘের সাথে।

ঝিঁঝিঁদের গান আর দমকা বাতাসে
    থেকে থেকে নেচে উঠে আমের বন
        দুলে উঠে বট আর অশ্বত্থের কিশলয়
অলস বিকেলে গড়িয়ে নেয়
    পোষা মেনি বিড়াল
        ভোলা মানের কুকুরটিও তাকিয়ে থাকে
            উদাস চোখে
বসন্ত বিকেলের উড়ো মেঘ
ভেসে যায় দমকা বাতাসে।

বাঁশের চিরল পাতার ফাঁক দিয়ে
    উঁকি দেয় লালচে সূর্য
        এক ঝাঁক পাখি হঠাৎ ঢেকে দেয় আকাশটা
            ভেসে চলে আপন ঠিকানায়
উড়ো মেঘের সাথে,
দমকা হাওয়ায়।

কোকিলের সুরে সুর মিলিয়ে
    গেয়ে চলে হলুদ পাখি, টুনটুনি, দোয়েল
        সে সুর ছড়িয়ে যায় দূর থেকে দূরে
            উড়ো মেঘের সাথে
            বসন্তের বিকেলে।

শান্ত নদী যেন পটে আঁকা ছবি
    এঁকে বেঁকে বয়ে চলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
        দুপাশের সবুজ ঝোঁপে প্রাণের স্পন্দন।

দমকা বাতাসে ভেসে যায় উড়ো মেঘ,
    ভেসে যায় আপন আলয়ে
        বাঁশবন, ধানক্ষেত, কাশবন-সবুজের ঢেউ
            সব ছাড়িয়ে
                বুক ভরা বজ্র-মশাল নিয়ে
                বসন্তের বিকেলে
ভেসে যায় উড়ো মেঘ, ভেসে যায়
দমকা বাতাসে।


০৪ এপ্রিল ২০২০
১২:৫৫
কালিহাতী, টাংগাইল

যেভাবে তোমায় ভাবি

বলবোনা কোনদিন, না বলাই থাক
এই তো ভাল।
শুধু তাকিয়ে রব অবাক চোখে
দেখব তোমায়, শুধু দেখবো তোমায়
তুমিও তাকাবে অবাক চোখে,
বুঝবেনা কিছু তবু দেখবে আমায়-
বলবে কথা, যা আছে যত, শুনব শুধু
ফুরাবে সময়, গড়াবে বেলা,
এইতো ভাল।

শীতের সকাল বা চৈতী বিকেল
তাকিয়ে রব, শুধু তাকিয়ে রব
দেখব তোমায় দুচোখ ভরে,
যেন সবুজ প্রান্তরে মস্ত বড় চাঁদ
ভরা জোসনা, নিকষ আঁধারে।
দমকা হাওয়ায় ভেসে যাওয়া মেঘের ভেলা
বসন্তের সূর্যোদয়, ভোরের মিষ্টি রোদ
দিগন্ত ছোঁয়া সবুজের ঢেউ
অবারিত বয়ে চলা নদীর স্রোত
আমি বিস্মিত দু'চোখ।

কেন এই মুগ্ধতা মনে?
হতাশ জীবনে-
যেখানে গায়না পাখিরা গান
বিষাদের সুর, শীতল আঁধার
তবুও তোমায় ভাবি,
অজানা কারণে।

যেন আঁধারের মাঝে আলো
তোমার প্রতিচ্ছবি, অবাক চাহনি।
দুঃখকে ঘৃণা করি, হয়তো তাই
তোমাকেই লাগে এত ভাল।

আমার পরিচয়?
পাবেনা কখনই, শুধু ছায়ার আবেশ।
একটু সহানুভূতি, একটু হাসি
এতটুকই শুধু, আর কিছু নয়
ভালবাসি, বড্ড ভালবাসি।


০১ এপ্রিল ২০২০
০৩:১৫
কালিহাতী, টাংগাইল

ঘুমের আবেশে

ঘুম আসেনা, জেগে থাকি একা
শুনশান আঁধারে, জলের ধারে
পূর্ণিমা চাঁদ দেয় দেখা
কত কথা বলি তার সাথে
নীরবে শুনে শুধু সে
এ জীবন বয়ে চলে অচেনা পথে।


০১ এপ্রিল ২০২০
০৩:৩৫
কালিহাতী, টাংগাইল

জীবন পথ

মাইট্টা পথে হাইট্টা চলি আঁকা বাঁকা রেখা,
বহু দূরে গেছে চইল্লা অনেক গুলা শাখা।
কোন পথে যে যাইতে হইব খুইজ্জা পাইনা দিক,
মনের ঘোরে যে পথে যাই হইয়া যায় বেঠিক।
ক্লান্ত দুপা শ্রান্ত এ মন লাগে না যে ভালা,
জীবন পথের পথিক সবাই পায়না ফুলের মালা,
জানি তবু খুইজ্জা ফিরি দিকে দিকে সুখ,
এই পথেতে লুকাই থাকে নানান রকম দুখ।
পথের শেষে হুনছি আছে নদী খরস্রোত,
তারই পরে গহীন বনে বিপদ উৎপ্রোত।
সবার শেষে গেলে পরে সুখ নাকি যায় দেখা,
এরই আশায় হাইট্টা চলি একলা পথে একা।


২৫ মার্চ ২০২০
১৪:৪৫
কামার্থী, কালিহাতী, টাংগাইল